আজঃ সোম, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

স্মার্টফোনে বন্দি জীবন

লিখেছেনঃ রাসেল পঠিত 487 বার
স্মার্টফোনে বন্দি জীবন
স্মার্টফোনে বন্দি জীবন


আধুনিক যুগে প্রযুক্তির ব্যবহারে মোবাইল ফোনই সব ধরনের মাদকতা সৃষ্টি করছে।

 হাতে একটি স্মার্টফোন না থাকলে নিজেকে স্মার্ট ভাবতে হয়তো কষ্ট হয় অনেকেরই। কিন্তু প্রত্যেক ক্রিয়ার সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া থাকে, সেটাও মাথায় রাখা উচিত। ফোন গুঁতোগুঁতি করতে গিয়ে সময় অপচয় যে হয়, সে তো জানা কথা। এছাড়া মাথা ব্যথা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার মতো শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কথাও জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। মোবাইল ফোন থেকেই ফেসবুক, ওয়াটসআপ,ভাইভার,ইমো ও স্কাইপি’র সৃষ্টি। দেশে বিদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। একটি পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহক ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে মোবাইল ফোন যতটা কার্যকরী আবার এটির অতিরিক্ত ব্যবহার শরীরের জন্য ঠিক ততটাই ঝুঁকিপূর্ণ। আর এটি শরীরে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে আমাদের ঘুমের ওপর।এক গবেষণায় গবেষকরা বলছেন,মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথা বলা এবং একটানা দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহারে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে,যা মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। সুইডেনের ইউনিভার্সিটি অব গুটেনবার্গের গবেষক সারা থমি বলেন, প্রযুক্তি ব্যবহারের সময় স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে হলে এর স্বাস্থ্যকর ব্যবহার জানতে হবে। থমি তার সঙ্গীদের নিয়ে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের ওপর কয়েকটি গবেষণা চালান।গবেষকদের চারটি দলে ভাগ করেন তিনি। প্রথম দলটি মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহারকারী ও দ্বিতীয় দলটি স্বাভাবিক ব্যবহারকারীদের ওপর পর্যবেক্ষণ করে। তৃতীয় দলটি অতিরিক্ত কম্পিউটার ব্যবহারকারী এবং চতুর্থ দলটি স্বাভাবিক ব্যবহারকারীদের পর্যবেক্ষণ করে।  প্রায় এক বছর পর্যবেক্ষণের পর দেখা যায়, যারা অতিরিক্ত কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে আর এ সংখ্যা তরুণদের মধ্যেই বেশি। যারা মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথা বলেন এবং কম্পিউটার ব্যবহার করেন তাদের অনিদ্রাসহ নানা স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় এবং তারা বেশি মাত্রায় বিষণ্ণতায় ভোগেন। অনেকেই আবার এ বিষণ্ণতার কারণে আত্মহননসহ নানা ধ্বংসাত্মক কাজে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন। যারা রাত জেগে একটানা দীর্ঘ সময় কম্পিউটার ব্যবহার করেন বা মোবাইল চালনা করেন তাদের রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।গবেষকরা প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করার ওপর আরোপ করেন গবেষকরা। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মদের এ বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। মনে রাখতে হবে প্রযুক্তি আমাদের যেমন প্রয়োজন আবার প্রযুক্তির অতিরিক্ত আসক্তি সমাজ ও শরীরের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। তাই আসুন আমরা নিজেরা মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার থেকে বিরত থাকি ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অন্যকেও এর অতিরিক্ত ব্যবহারে সচেতন করে তুলি। মনে রাখতে হবে, কোনো কিছুর অতিরিক্ত আসক্তি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। যোগাযোগের ইতিহাস বদলে দেয়া এক মাধ্যম। দুনিয়া যেন আক্ষরিক অর্থেই পরিণত হয়েছে এক গ্রামে। ফেসবুক নামের বিশ্বগ্রামে প্রতিদিন নিজেদের মতামত দিচ্ছেন কোটি কোটি মানুষ। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়। মুক্ত মাধ্যমে মুক্ত হাতে লিখছেন নানা শ্রেণী-পেশার জনগোষ্ঠী। তবে সামাজিক যোগাযোগের এ মাধ্যমে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া সবসময় সামাজিক থাকছে না। মত প্রকাশের নামে চাষ হচ্ছে ঘৃণারও। চরিত্র হরণ করা হচ্ছে মানুষের। অনেকটা সুকৌশলে। মিথ্যা আর অশালীন প্রচারণার মাধ্যম হিসেবে ফেসবুককে ব্যবহার করছে অনেকে।  অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমও এর ব্যতিক্রম নয়। অনেকে হয়তো জানেনও না, তাদের নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে চালানো হচ্ছে ঘৃণ্য প্রচারণা। ব্যক্তিগত, সামাজিক আর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের ঘায়েল করতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফেসবুক।মিথ্যা, ভিত্তিহীন আর আজগুবি তথ্যের প্রচারণা চলছে। রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অভিনেতা-অভিনেত্রী, সাধারণ মানুষ কেউই বাদ যাচ্ছেন না ফেসবুক হয়রানি থেকে। এমনকি ইতিহাসের অনেক মহামানবকে নিয়েও ফেসবুকে রচনা করা হচ্ছে কুৎসার।একটি নবজাতক যখন পৃথিবীতে আসে তখন সে কাদা মাটির মতোই নরম, অফুটন্ত ফুলের কলির মতো পবিত্র এবং হিমেল হাওয়ার মতো শান্ত থাকে। আর তখন আমাদের করণীয় হলো ঐ কাদা মাটিকে একটি সত্যিকারের মানুষের আদলে গড়ে তোলা, অফুটন্ত কলিকে সুন্দর পরিবেশে প্রস্ফুটিত হতে দেয়া আর ঐ হিমেল হাওয়াকে জাতীয় শান্তির উপকরণে পরিণত করা। দেশের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে শিশুদের জন্য সুষ্ঠু কার্যক্রম গ্রহণ অপরিহার্য। প্রত্যেক শিশুকে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সকলের অংশগ্রহণ একান্ত বাঞ্ছনীয়। শিশুরাই দেশের ভবিষ্যত কর্ণধার। জাতিকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে শিশুদের উন্নয়নে সার্বিক কার্যক্রম অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন প্রয়োজন।একজন মা তার সন্তানকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সবচেয়ে নিখুঁত কারিগর। বাবা হতে পারেন মায়ের যোগ্য সহকর্মী। একজন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষকের চেয়ে পিতামাতা তার সন্তানের সুপ্ত প্রতিভার খোঁজ বেশি রাখেন। যে সন্তানের যেদিকে ঝোঁক থাকে, তাকে সে পথে চলতে দেয়াটাই উত্তম।বিখ্যাত মনীষী হওয়ার জন্য, বিশ্বের সবার কাছে শ্রদ্ধেয় হওয়ার জন্য ডাক্তার আর ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার খুব বেশি প্রয়োজন পড়ে না।  অর্থবিত্ত উপার্জনের পেছনে সন্তানদের লেলিয়ে দিলে তার পরিণতি অনেকক্ষেত্রে মঙ্গল বয় না। অর্থ ক্ষণকালের নিরাপত্তা দিতে পারে হয়ত, কিন্তু মানব চিত্তের স্থায়ী সুখ তার সহজাত বৃত্তির বিকাশের মধ্যেই লুকায়িত।এই মা-বাবাই তার আদরের সন্তানকে তার পছন্দ মত একটি মোবাইল কিনে দেয়, মা-বাবার সাথে সন্তানের সম্পর্ক আরও গাঢ় ও সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর ও তদারকির জন্য। কিন্তু কয়জন এর সুফল বহন করে? একটি জীবন, একটি পরিবারের স্বপ্ন ।মোবাইলে কথা বলতে বলতে রাস্তা পার হতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছেন। মোবাইলে মগ্ন থাকার কারণে গাড়ির হর্নের আওয়াজ কানে যাচ্ছে না ।মোবাইলের ভয়ঙ্কর ব্যবহারে প্রায়শই মত্ত হন চালকেরা। গাড়ি চালাতে চালাতেই গল্পে মেতে থাকেন তারা। নিজের এবং যাত্রীদের জন্য ডেকে নিয়ে আসেন বিপর্যয়। এগুলো দেখারও যেন কেউ নেই। ছবি বা সেলফি তোলা নিয়ে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ তথা বহির্বিশ্বে ঘটছে নানান অপ্রীতিকর ঘটনা। সেলফি হাল ফ্যাশনে ছবি তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম। বন্ধুদের সাথে আড্ডায়, ছুটির দিনে অথবা পারিবারিক ও সামাজিক আনন্দঘন মুহূর্ত ধরে রাখছে সেলফি। কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে ব্যতিক্রম করে উপস্থাপন করতে এই সেলফি যেন এখন আসক্তিতে পরিণত হয়েছে। কেন এই সেলফি আসক্তি। সেলফি নেশায় আসক্ত গোটা বিশ্ব। আর সেলফি নিয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনা দুর্ঘটনাও কম নয়। অসতর্কতার কারণে ঘটছে প্রাণহানি। আনন্দ-উল্লাস, হাসি-কান্না, বিদায়-অভিবাদন, প্রার্থনা-মৃত্যু, যে কোন মুহূর্ত ধরে রাখতে তরুণ প্রজন্মের এই সেলফি আসক্তি স্মার্টনেসের অপরিহার্য অনুষঙ্গ মনে না করে। তার জন্য পরিমিতবোধ ও রুচিশীলতা বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।ঝুঁকিপূর্ণ সেলফির মাধ্যমে নিজেকে জাহিরের এই মানসিকতা হীনমন্যতার পরিচয় বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। কোরবানির ঈদ উপলক্ষে আমাদের দেশে সেলফি নিয়ে নানা বিতর্কের সৃষ্টি হয়।  তাছাড়া সেলফি তুলতে যেন ক্লান্তি নেই কারও। হাতে সেলফোন থাকলেই কারণে অকারণে একের পর এক ছবি তুলতে থাকেন সবাই। কিন্তু বিপত্তি তখনই, যখন ফোনের চার্জ শেষ হযে যায়। আফসোসের যেন শেষ থাকে না আর। শুধু তাই নয়, জনপ্রিয় যোগাযোগ এই মাধ্যমটি এখন সামাজিক অবক্ষয়ের কারণ হিসেবেও মূল্যায়িত হচ্ছে।যে উদ্দেশ্য নিয়ে ফেসবুক ব্যবহার হওয়ার কথা, তা থেকে এখন সরে এসে নেতিবাচক উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার হচ্ছে বলে সমাজবিজ্ঞানী ও মনস্তাত্ত্বিকরা বলছেন। এখন অনেকের অশান্তি, দুর্ভোগ ও যন্ত্রণার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ফেসবুক। সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যমটির কারণে অনেক ঘরে অশান্তি দেখা দিয়েছে। ফেসবুকে বন্ধু হতে গিয়ে অনেকের মধ্যে গড়ে উঠছে পরকীয়ার সম্পর্ক। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সন্দেহের দানা বাঁধছে। তরুণ-তরুণীরা প্রতারণামূলক সম্পর্কে জড়িয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে প্রেমের ফাঁদে পড়ে মেয়েদের যৌন নির্যাতনের শিকার হয়ে প্রাণ দিতে হচ্ছে। শিশু-কিশোরদের মাত্রাতিরিক্ত ফেসবুক আসক্তি থেকে পড়ালেখায় ব্যাঘাত ঘটছে। সমাজের উচ্চপদস্থ ও প্রতিষ্ঠিতদের নামে এই যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও কুৎসা রটিয়ে কখনোবা দেয়া হচ্ছে প্রাণনাশের হুমকি। সব মিলিয়ে সামাজিক যোগাযোগের এই মাধ্যমটি এখন সামাজিক সমস্যার মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে।উপকারী একটি উপকরণ যখন ক্ষতির কারণ হয়, সেটা নিয়ে ভয়াবহ উদ্বেগের কারণ রয়েছে। মোবাইল ফোনের এমন নেতিবাচক ব্যবহার নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করার বিষয় রয়েছে। মোবাইলে ছবি তোলা যায় এবং ভিডিও করা যায়। এতে রয়েছে অসংখ্য ধরনের খেলা। একটি জরিপে জানা গেছে, স্কুল কলেজের ছাত্ররা এর মাধ্যমে পর্ণো ছবি দেখছে।  জরিপে দেখা গেছে ৭৭ শতাংশ ছাত্র এর মাধ্যমে পর্ণো দেখে। আবার ঐ পর্ণোর ভিডিও ধারণ করা হয় সেই মোবাইল দিয়ে। এরপর সেটা এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ছড়িয়ে দেয়া হয়। বাসে চড়ার সময় বিষয়টি ভালভাবে লক্ষ করা যায়। সবাই মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত। পাশে তাকানোর প্রয়োজনও কখনো মনে করে না তারা। এটাকে মারাত্মক আসক্তি বলা যায়। যোগাযোগের এই যন্ত্রটিকে মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত রাখতে হলে এর নেতিবাচক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ছাত্র-ছাত্রী তথা আমাদের তরুণ সমাজ জাতির বড় সম্পদ। তারা বড় হয়ে নিজেদের মেধা ও চরিত্র দিয়ে দেশকে অনেক কিছু দেবে যা জাতিকে উচ্চ শিখরে নিয়ে যাবে, এটাই আমাদের স্বাভাবিক প্রত্যাশা। সেই শিক্ষার্থীরা, সেই তরুণ প্রজন্ম, পথভ্রষ্ট হয়ে যদি মোবাইলআসক্তির মত অনৈতিক ঘৃণ্যকর্মে লিপ্ত হয়ে, সন্ত্রাস দুর্নীতির মত অপকর্মে নিজেদের নিয়োজিত করে তবে দেশের ভবিষ্যৎ কি হতে পারে, তা অতি সহজেই অনুমেয়। এ ধরনের জঘন্য প্রবণতা ব্যক্তির শারীরিক ও সামাজিক ক্ষতি করার পাশাপাশি তার জীবনের সকল সম্ভাবনাকে ধ্বংস করে দেয়। বস্তুত এই ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি জীবন থেকে জীবন কেড়ে নেয়। যে পরিবারের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের আসক্ত রয়েছে সে পরিবারের দুঃখ দুর্দশার সীমা নেই। যুবসমাজই দেশ ও জাতির আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কর্ণধার এবং সৃজনশীল পথের দিশারী। অথচ এক শ্রেণির রাজনৈতিক নেতা ও প্রভাবশালী ব্যক্তি স্বীয় স্বার্থসিদ্ধির উদ্দেশ্যে তরুণদের ব্যবহার করার কারণে তারা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আমাদের যুব সমাজের একাংশ আজ মোবাইল মাদকতার করাল গ্রাসে নিপতিত হয়ে জড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে, যার ফলে বিনষ্ট হচ্ছে সামাজিক স্থিতিশীলতা, বাধাগ্রস্ত হচ্ছে উন্নয়নের ধারা।  দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বিপথগামী তরুণ সমাজকে রক্ষা করতে হলে মোবাইলের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, মোবাইলের সুফল ও কুফল সম্বন্ধে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এ সমস্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, ফলে দেশের শান্তি ও সমৃদ্ধির দ্বার রুদ্ধ হওয়ার পথে। রাষ্ট্রের দায়িত্বশীল জায়গাটা অপেক্ষাকৃত কম।অভিভাবকদের সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে। এরপর শিক্ষকদের দায়িত্ব। অভিভাবক যদি স্মার্টফোন কিনে না দেন, তাহলে সন্তানের ক্ষমতা নেই স্মার্টফোন ব্যবহার করার। যোগাযোগের স্বার্থে তাকে অ্যানালগ ফোন দেয়া যেতে পারে। অভিভাবকদের সঙ্গে সন্তানদের যে দূরত্ব সেটা কমাতে হবে। যতক্ষণ এ দূরত্ব কমানো না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন গুলো বাবা-মায়ের সঙ্গে শেয়ার করবে না। পরবর্তীতে তারা নানা ধরনের অসহিষ্ণু কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়বে। মানসিক ও সামাজিকভাবে বিকলঙ্গ হওয়ার আগেই সন্তানের সঙ্গে বাবা-মায়ের দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। যারা আসক্ত হয়ে পড়েছে সেক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষক ও অভিভাবকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় তাদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিতে হবে।