আজঃ শুক্র, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

জার্মানি লতা লতার ঔষধি গুনাগুন।

লিখেছেনঃ সুমাইয়া পঠিত 7601 বার
জার্মানি লতা লতার ঔষধি গুনাগুন।
জার্মানি লতা লতার ঔষধি গুনাগুন।


জার্মানি লতা সবসময় আমাদের চোখের সামনে থাকলেও আমরা কিন্তু এই লতা গাছটির নাম জানি না। আঞ্চলিক ভেদে এই লতানো গাছটিকে মানুষ ভিন্ন ভিন্ন নামে ডাকে।

জার্মানি লতার অঞ্চল ভেদে নাম

জার্মানি লতা অঞ্চল ভেদে বিভিন্ন নামে পরিচিত। নিন্মে কিছু নাম উল্লখ করা হলোঃ

  • জার্মান লতা
  • বিকাশ লতা
  • জাপানী লতা
  • ফিরিঙ্গি লতা
  • আসাম লতা
  • রিফুজি লতা
  • বুড়ি পান লতা
  • কইয়া লতা
  • বুচি লতা

 

জার্মান লতার বৈজ্ঞানিক নাম

  • Mikania micrantha

 

কাটা স্থানে এই লতার পাতার রস লাগালে সাথে সাথে রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যায়।জার্মান বা ফিরিঙ্গি লতা বিপদে আপনার মহা ঔষধ হিসেবে কাজে আসতে পারে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

কতগুলি পাতা ছিড়ে পাটার উপর রেখে অথবা হাতের তালুতে পিষে শরীরের কাটা জায়গায় লাগিয়ে কাপড় বা ব্যন্ডেজ এর সাহায্যে প্যাঁচিয়ে বেঁধে রাখুন।আনুমানিক ৪/৫ ঘন্টা পর খুল্র দেখবেন আপনার কাটা জোড়া লেগে গেছে,আর লাগানোর সাথে সাথে আপনার রক্ত পরা বন্ধ হয়ে যাবে।

 

জার্মানি  লতার ভেষজ গুনাগুন

জার্মানি বা ফিরিঙ্গি লতায় রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুন।আসুন জেনে নেই সেইগুলো কি কিঃ-

  1. শীতকালে হাতের তালুতে চামড়া উঠলে খস খসে হয়ে গেলে জার্মানি বা ফিরিঙ্গি লতা লাগালে খুব উপকার পাওয়া যায়।
  2. কিডনি এবং পাকস্থলিতে পাথর হলে ২-৩ টি জার্মানি বা ফিরিঙ্গি লতা চিবিয়ে খেলে পাথর আস্তে আস্তে অপসারণ হয়ে যাবে।
  3. প্রতিদিন খালি পেটে ৪ চা-চামচ জার্মানি বা ফিরিঙ্গি লতার রস ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে ৭দিন খেলে রক্ত দূষন ভালো হয়।
  4. জন্ডিস বা লিভারের যে কোনও সমস্যা হলে জার্মানি বা ফিরিঙ্গি লতার রস অনেক কার্যকর এবং মূত্রথলি সমস্যা জনিত রোগের জন্যও এই লতার রস কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
  5. ইউনানী গবেষকরা বলেছেন, কাটা ক্ষত,রক্তপড়া,গ্যাষ্ট্রিক ও বিষক্রিয়া দূর করতে জার্মানি বা ফিরিঙ্গি পাতার রস বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে।
  6. যাদের প্রচুর গ্যাষ্ট্রিক এর সমস্যা রয়েছে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১ লিটার পানিতে ৫-৬ টি জার্মানি বা ফিরিঙ্গি পাতার কচলানো পানি (পানিতে পাতাগুলো হাত দিয়ে কচলে ফেলে দিতে হবে) পান করলে গ্যাষ্ট্রিক এর সমস্যা দূর হয়।

 

প্রতিদিন চোখের সামনে অনেক ঔষধ গাছ দেখলেও আমরা সহজে চিনতে পারি না আর সঠিক ভাবে জানিও না এর ঔষধি গুনাগুন সম্পর্কে। প্রাকৃতিক ভাবে যদি রোগ প্রতিরোধ করা যায় তাহলে আমরা ডাক্তারের কাছে না গিয়ে নিজেরাই অনেক রোগ প্রতিকার করতে পারবো।