






























১. গ্রামীণ হোমস্টে ট্যুরিজম (গ্রামের অতিথি আবাসন ব্যবসা) বরুড়ার শান্ত প্রকৃতি ও গ্রামীণ সংস্কৃতি শহরের মানুষদের কাছে খুবই আকর্ষণীয়। উদ্যোক্তারা তাঁদের বাড়ির একটি অংশ সাজিয়ে 'হোমস্টে' বা 'গ্রামীণ আবাসন' হিসেবে পর্যটকদের জন্য ভাড়া দিতে পারেন। এতে: স্থানীয় খাবার ও সংস্কৃতি উপস্থাপন করা যাবে, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে (রান্না, পরিচ্ছন্নতা, গাইডিং ইত্যাদি)।
২. মোবাইল রিচার্জ ও অনলাইন সেবা কেন্দ্র একটি ছোট দোকান থেকে শুরু করে মোবাইল রিচার্জ, বিকাশ/নগদ লেনদেন, চাকরির ফর্ম পূরণ, জন্মনিবন্ধন, পাসপোর্ট ফর্ম ফিলাপ ইত্যাদি অনলাইন সেবা দেওয়া যেতে পারে। এতে কম খরচে স্থানীয় পর্যায়ে একটি বড় কর্মক্ষেত্র তৈরি হবে।
৩. প্রাকৃতিক খাদ্য প্যাকেজিং ও বিক্রয় উদ্যোগ বরুড়ার মধু, খাঁটি সরিষার তেল, দেশি চাল, শুকনা মরিচ ইত্যাদি প্রাকৃতিক খাবার প্যাকেজিং করে স্থানীয় বাজার এবং অনলাইনে বিক্রি করা যেতে পারে। 'গ্রাম থেকে ঘরে'—এই স্লোগানে একটি ইউনিক ব্র্যান্ড তৈরি করা সম্ভব।
৪. বর্জ্য থেকে সার উৎপাদন (কম্পোস্টিং প্রজেক্ট) গ্রামীণ এলাকায় গৃহস্থালির বর্জ্য, গবাদিপশুর মল ইত্যাদি থেকে জৈব সার উৎপাদন করা যেতে পারে। এই সার কৃষকদের বিক্রি করে আয় করা যাবে এবং পরিবেশও রক্ষা পাবে। এতে কিছু লোক সার উৎপাদন ও বিপণনের কাজে নিয়োজিত হতে পারবে।
৫. অনলাইন কোচিং ও ইউটিউব শিক্ষা চ্যানেল বরুড়ার মেধাবী শিক্ষার্থীরা অনলাইন ভিত্তিক কোচিং শুরু করতে পারে। ইউটিউব বা ফেসবুক লাইভে পাঠদান করে আয় করা সম্ভব। বিশেষ করে প্রাথমিক/জেএসসি/এসএসসি পর্যায়ে বিষয়ভিত্তিক ক্লাস নিতে পারলে গ্রামাঞ্চলেও শিক্ষার নতুন দুয়ার খুলে যাবে।
উপসংহার: বরুড়া উপজেলায় কর্মসংস্থানের অভাব দূর করার জন্য দরকার নতুন ভাবনা ও সাহসিক পদক্ষেপ। উপরোক্ত ইউনিক আইডিয়াগুলোর যেকোনো একটি বেছে নিয়ে একদল তরুণ উদ্যোক্তা তৈরি হলে শুধু বেকারত্বই নয়, পুরো এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে যেতে পারে।